কাস্টমস, এক্সাইজ ডিউটি ও ভ্যাট | Customs, Excise duty and VAT | Professionals TaxVAT
ভ্যাট এবং কাস্টমস এর মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে ৯০ দিন পার হয়ে যাবার পরও হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে যান, এবং এ ধরনের মামলা যারা নতুন করেন তাঁদের মাঝেও একটা দ্বিধা তৈরী হয়।
এখানে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২, ধারা- ১২৪(১) এ বলা আছে “ বোর্ড বা আপীলাত ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা কমিশনার বা মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, উক্ত আদেশের আইনগত প্রশ্নে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিলের আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন”।
এবং ধারা -১২৪ (৩) এ বলা আছে “ উপ-ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে আপিলের আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫ প্রযোজ্য হইবে”।
ওপর দিকে কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর ধারা-196(d) তে বলা আছে “ধারা-১৯৬-খ এর অধীন কোন আদেশের নোটিশ জারীর তারিখ হইতে নব্বই দিবসের মধ্যে কমিশনার অব কাস্টমস অথবা অন্য পক্ষ উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনপত্রের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন”।
দুটি আইনের আপীল দায়েরের ধারা থেকে দেখা যাচ্ছে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এ স্পষ্ট করে বলাই আছে যে এখানে “তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫” প্রযোজ্য হবে, অপরদিকে কাস্টমস আইন, ১৯৬৯-এ “তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫” এর কথা কিছু বলা নেই; অর্থাৎ ভ্যাট আপীলে নির্দিষ্ট সময় সীমা পার হলে বিলম্বিত সময় মওকুফ চেয়ে ভ্যাট আপীল দায়ের করা যায়; কিন্তু কাস্টমস আপীলে এ ধরনের কোন সুযোগ নেই অর্থাৎ ৯০ দিন মানে ৯০ দিন, এর মাঝেই আপীল দায়ের করতে হবে, বিলম্বিত সময় মওকুফের আবেদন করার কোন সুযোগ নেই।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এ আপীল করার ক্ষেত্রে অনেক সময় নির্ধারিত সময় পার হয়ে যায় তখন আপীল ফাইল করার সময় আলাদা ভাবে ডিলে কনডোনেশনের আবেদন অনেকে সাবমিট করেন না, এমনকি আপীলের মেমোতেও একটা লাইন লিখেন না যে কেনো নির্ধারিত সময়ে আপীল দায়ের করতে পারেননি, তারপর সেই আপীল যখন খারিজ হয়ে যায় তখন রেমেডি চান, বিষয়টা ঠিকনা; কেনো আপনি নির্ধারিত সময়ে আপীল ফাইল করতে পারেননি সেটার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা বিজ্ঞ ট্রাইবুনালে দাখিল করতে হবে, শুনানী অন্তে বিজ্ঞ ট্রাইবুনাল সন্তুষ্ট হয় ডিলে কনডোন না করে আপীল খারিজ করে দিলে উচ্চ আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করে আপনি প্রতিকার চাইতে পারেন। আইনের প্রোপার ফোরাম সবসময় মেইনটেইন করতে হবে, অন্যথায় প্রতিকার পাওয়া মুশকিল ।
Bangladesh Professionals VAT and Tax Law Firm