পরপর কয়েকবছর রিটার্ন দাখিল না করলে করণীয় | Professionals TaxVAT
বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী আপনার যদি করযোগ্য আয় ৩৫০,০০০ টাকা অতিক্রম করে তাহলে আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। আপনার করযোগ্য আয় ছিল তাই আপনি রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু পরের অর্থবছরে আপনার করযোগ্য আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেনি এবং সেজন্য আপনি হয়তো রিটার্ন দাখিল করা থেকে বিরত থেকেছেন। আবার, এমনও হতে পারে, আপনার করযোগ্য আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেছে ঠিকই, কিন্তু আপনি টিআইএন নেননি এবং রিটার্নও দাখিল করেননি।
নিয়ম হলো আপনি যদি একবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে পরপর তিনবার আপনার করযোগ্য আয় না থাকলেও আপনাকে রিটার্ন দাখিল করে যেতে হবে। আপনি যদি এই নিয়ম না মানেন তাহলেই আপনাকে আয়কর আইন ভাঙার দায়ে জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে।
এ অবস্থায় কোনো কারণে যদি আপনি কোনো বছরে বা একাধিক বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করে থাকেন এবং এখন সেই বকেয়া আয় বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাহলে কী করবেন?
প্রথম কথা হলো, আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে কোনো বাধা নেই। আপনি বকেয়া যে কোনো বছরের জন্য, তা একাধিক বছরের জন্য হলেও, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এখন আপনি যেহেতু আয়কর আইন মানেননি, তাই আপনাকে কিছু জরিমানা দিতে হবে রিটার্ন দাখিল করার সঙ্গে। সেই জরিমানাসহ রিটার্ন দাখিল করলেই আপনি আবার নিয়মিত হয়ে গেলেন ।
এখন প্রশ্ন হলো, এই জরিমানার পরিমাণ কত? দেখে নিন 💠এখানে
ওই মোতাবেক জরিমানা হিসাব করে আয়করসহ চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
বর্তমানে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ফরম আগের চেয়ে অনেক সংক্ষিপ্ত এবং সহজ করা হয়েছে, যাতে করে করদাতা ভয় না পান। জটিলতা ছাড়াই যেন করদাতা তার রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সেই চিন্তা মাথায় রেখেই প্রতিবছর আয়কর ফরম আগের থেকে সহজতর করা হচ্ছে। আপনি এখন কীভাবে আয়কর গণনা করে রিটার্ন ফরম তৈরি করতে হবে তা জানেন। তাই আপনি সবকিছু প্রস্তুত করে রিটার্ন দাখিল করুন।
সরকারি চাকরিজীবীর রিটার্ন প্রস্তুত দেখুন এখানে✅
বেসরকারি চাকরিজীবীর রিটার্ন প্রস্তুত দেখে নিতে পারেন এখানে✅
Bangladesh Professionals VAT & Tax Law Firm