ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল বা বন্ধ সাধারণত ২ ভাবে করা যায়-
১) সাময়িক বন্ধকরন
২) স্থায়ীভাবে বন্ধকরন
সাময়িকভাবে বন্ধকরনঃ সাধারণত হঠাৎ কোন সমস্যা; যেমন- অগ্নিকান্ড, প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ, মালিকের মৃত্যুজনিত কারণে ব্যবসায়ের মালিকানা হস্তান্তর, স্টকের মাল না থাকায় উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধকরন, কোন অর্ডার না থাকা ইত্যাদি কারণে প্রতিষ্ঠান তার অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। এক্ষেত্রে করদাতাকে তার প্যাডে সীল-সাইন দিয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তার দপ্তরে একটি ফরওয়ার্ডিং বা দরখাস্তের মাধ্যমে রিছিভ করাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে করদাতাকে শূন্য রিটার্ন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করে যেতে হবে এবং ভাড়ার উপর ভ্যাট প্রযোজ্য হলে তা রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে। এতে করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও করদাতা উভয়ের জন্য বিষয়টি সহজ হয়। কারণ যারা অজঙ বৃন্দ থাকেন তাদেরও উপর মহলে জবাবদিহি করতে সুবিধা হয়। কারণ তারা বেকায়দায় পড়লে তার দায়ভার কোন না কোন ভাবে করদাতার উপর বর্তায়।
স্থায়ীভাবে বন্ধকরনঃ মালিকের মৃত্যু, ক্রমাগত ক্ষতি, দেউলিয়াত্ব, ব্যবসা বা পেশা পরিবর্তন, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ভ্যাট নিবন্ধন বাতিলের বা বন্ধের প্রয়োজন হতে পারে। আইন অনুযায়ী ব্যবসা বন্ধের ১৫ দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানাতে হয়। এক্ষেত্রে জানানোর ক্ষেত্রে আইন ও বিধিতে স্পষ্ট কোন প্রক্রিয়ার কথা বলা না থাকলেও অফিস কর্তৃক কিছু কমন প্রেক্টিস রয়েছে যেমন-
বন্ধের আবেদনের সাথে নি¤œলিখিত দলিলাদিসমূহ সহ আবেদন করতে বলা হয়; তাছাড়া এভাবে আবেদন করা না হলে তারা এপ্রুভ করে না।
সাথে যেসকল দলিলাদি দিতে হয়-
১) প্রতিষ্ঠানের প্যাডে সীল-সাইন সহ আবেদন/ফরওয়ার্ডিং
২) বিন সার্টিফিকেট
৩) ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি
৪) টিন সার্টিফিকেট
৫) সর্বশেষ ২-৬ মাসের রিটার্ন দাখিলের কপি
৬) ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প অঙ্গীকারনামা
৭) মূসক ২.৪ ফরম পূরনের কপি
উল্লেখিত দলিলাদিসহ বিভাগীয় কর্মকর্তা র দপ্তরে একটি ফরওয়ার্ডিং বা দরখাস্তের মাধ্যমে রিছিভ করাইয়া; উক্ত আবেদনের রিসিভ কপি স্ক্যান করে করদাতা ইচ্ছে করলে অনলাইনে Attachment- এ দিয়ে Mushok-2.4 BIN Cancel এ আবেদন করতে পারেন। তবে আইনে অনলাইনে আবেদন করার কথা বলা হলেও অফিস অফলাইনে হার্ডকপি ছাড়া বন্ধকরণ করতে চায় না। যদি একান্তই করদাতার উল্লেখিত ডকুমেন্ট্স জোগাড় করতে জামেলা মনে হলে শুধুমাত্র ১টি ফরওয়ার্ডিং দিয়েও বা রিসিভ করিয়ে বা অনলাইনে দাখিলের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জটিলতা বা দায় এড়াতে পারে।
মোনতাজিম বিল্লাল, কর আইনজীবী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড