নানা কারণে রেয়াত বাতিল করা হয়। রেয়াত বাতিল করা হলে সুদ প্রযোজ্য হবে কিনা এ বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে জটিলতা রয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকেন যে, রেয়াত হলো একটা সুবিধা যা আইনে দেয়া হয়েছে। উপকরণ ক্রয় করার বিপরীতে যে অর্থ রেয়াত নেয়া হয় তা অনেক আগেই সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করা হয়েছে। তাই, রেয়াত বাতিল হলে সুদ প্রযোজ্য হবে না।
রেয়াত পাওয়ার অধিকারী না হওয়া সত্ত্বেও যদি রেয়াত গ্রহণ করা হয় তাহলে আইনের ধারা-৪৫ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদে প্রকৃত নীট কর পরিশোধ করা হয় না। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত গৃহিত রেয়াত বাতিল করা হলেও সরকার যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে প্রাপ্তব্য রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে। প্রদেয় কর বলতে প্রদেয় নীট কর বোঝায়। আইনের ধারা ৪৫ অনুসারে, হিসাব-নিকাশ করার পর যে ব্যালান্স পাওয়া যাবে সেটা হলো প্রদেয় নীট কর। অনিয়মিতভাবে রেয়াত গ্রহণ করা হলে প্রদেয় নীট কর হ্রাস পায়, অর্থাৎ নীট কর পরিশোধ করা হয় না। তাই, অনিয়মিতভাবে রেয়াত নেয়া হলে আইনের ধারা ১২৭(১) অনুযায়ী সুদ প্রযোজ্য হবে।
অনিয়মিতভাবে রেয়াত গ্রহণ করা হলে প্রদেয় নীট কর অপরিশোধিত থাকে। তাই, আইনের ধারা ২৭(১) অনুসারে সুদ প্রযোজ্য হবে। তবে, অনিয়মিতভাবে রেয়াত নেয়ার পরেও যদি দাখিলপত্রে নেগেটিভ ব্যালান্স থাকে তাহলে সুদ প্রযোজ্য হবে না। কারণ, প্রদেয় নীট কর সৃষ্টি হয়নি।